মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২২ অপরাহ্ন

৫০ হাজার ফিলিস্তিনিকে চাকরি দিচ্ছে কাতার চ্যারিটি

৫০ হাজার ফিলিস্তিনিকে চাকরি দিচ্ছে কাতার চ্যারিটি

স্বদেশ ডেস্ক:

স্নাতক সম্পন্ন করা ৫০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে চাকরি দিচ্ছে কাতার চ্যারিটি। তাদেরকে ‘তাকত’ নামের এক কার্যক্রমের মাধ্যমে দূর থেকেই কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে। বুধবার এ খবর প্রকাশ করেছে লন্ডনভিত্তিক গণমাধ্যম মিডলইস্ট মনিটর।

দাতব্য সংস্থা কাতার চ্যারিটির এ উদ্যোগকে বিশ্বের অন্যতম চমৎকার মানবিক উদ্যোগ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। এ মানবিক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বেকারত্বে হার কমানোর জন্য। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। এছাড়া এ উদ্যোগের মাধ্যমে চাকরির প্রয়োজন আছে এমন সৃজনশীল যুবকদের কর্মদক্ষতা বাড়বে বলে জানিয়েছে কাতার নিউজ এজেন্সি।

এ ‘তাকত’ প্রকল্পের আওতায় সৃজনশীল ও মেধাবী ফিলিস্তিনি যুবকদেরকে কন্টেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও প্রডাকশন, মোশন গ্রাফিক, অনুবাদ, হিসাব কার্যক্রম ও অন্যান্য কাজ দেয়া হবে।

কাতার চ্যারিটি সংস্থার মাধ্যমে চালিত ‘ফিলিস্তিনি রিলিফ’ কার্যক্রমের আওতায় গাজা ও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোকে সহায়তার জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, আনুমানিক ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি যুবক প্রতিবছর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে থাকে। কাজের সুযোগ কম থাকায় তাদের বেশির ভাগই বেকার।

এ বছরের শুরুর দিকে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, গত বছর করোনা মহামারীর মধ্যে ৬৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি কর্মচারী তাদের চাকরি হারিয়েছেন। বর্তমানে এ অঞ্চলে বেকারত্বের হার বেড়ে ২৭.৮ শতাংশ হয়েছে।

২০২০ সালে ফিলিস্তিনের শ্রমবাজার থেকে চাকরিজীবীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। ফিলিস্তিনে চাকরিজীবীর সংখ্যা ৯ লাখ ৫১ হাজার থেকে কমে ৮ লাখ ৮৪ হাজার হয়েছে।

এর মধ্যে গাজায় বেকারত্বে হার ৫০ শতাংশ আর ৬০ শতাংশ গাজাবাসী চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।

গত মাসে ইসরাইলের হামলায় গাজার বেশির ভাগ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায়। এসব অবকাঠামোর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তা, আবাসিক ভবন, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসঙ্ঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) বলছে, ইসরাইলি হামলায় ৭৫ হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এসব বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৮ হাজার ৭০০ জন জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থা চালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। এসব ব্যক্তির ঘর-বাড়ি ধ্বংস হবার কারণে ও আবারো ইসরাইলি বোমা হামলার ভয়ে এখনো তারা ওই স্কুলগুলোতে বাস করছেন।

সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877